আপনি যদি অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘ইনসাইড আউট ২’ দেখে থাকেন, তাহলে হয়তো মূল চরিত্রটির মানসিক ও শারীরিক সমস্যাগুলো খেয়াল করেছেন।
কিন্তু এমন আরও অনেক পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে আমাদের নেতিবাচক আবেগগুলো অনেক বেশি প্রকাশিত হয়, যার ফলে, অনেকেই যেমনটা বলেন ‘ভুল হয়ে থাকে’।
এমন কে আছে যে লম্বা সময় ধরে চলা কোনো মিটিংয়ের কারণে হয়তো দুপুরের খাবারের সময় পেরিয়ে গেলেও খেতে পারেনি বলে সামান্য বিষয় নিয়ে রুক্ষ আচরণ করেনি?
চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীর আমাদের সঙ্গে কেন এভাবে খেলে।
আর এসব কিছুর জন্য দায়ী হলো চিনি– বিশেষত গ্লুকোজ– যা আমাদের রক্তে সঞ্চালিত হয়।
যখন এর মাত্রা কমে যায়, তখন আমাদের শরীর তা পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখায়।
কিন্তু গ্লুকোজ ঠিক কী ভূমিকা পালন করে? এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই ধরনের চিনি আমাদের অঙ্গ তৈরি করা কোষের শক্তির প্রধান উৎস।
উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, এর উপর মস্তিষ্ক প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। এটা ছাড়া মস্তিষ্ক তৈরি করা ১০০ বিলিয়ন স্নায়ু কোষ নিজেদের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে না।
দুর্বল ও খিটখিটে বোধ করা, মাথা ঘোরা এবং মনোযোগে অসুবিধার মতো বিষয়গুলো দিয়ে বোঝা যায় যে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ পাচ্ছে না।
আর এই মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে অর্থাৎ খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিনি সরবরাহে ঘাটতি হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ